গত কয়েক বছরে লিফটের প্রযুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। লিফট কেনার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখলে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হতে পারে।
লিফটের কেবিন:
সাধারনত মানুষ কেবিনকেই লিফট মনে করে তাই কেবিনটি অবশ্যই বিল্ডিং এর ডিজাইনের সাথে মানানসই হওয়া উচিৎ, কমার্শিয়াল বা বিভিন্ন এপার্টমেন্টর জন্য ষ্টেইনলেস ষ্টিলের কেবিন হওয়া জরুরী কারন এটা দীর্ঘস্থায়ী। কেবিন যদিও একটা লিফটের পারফর্মেন্স এর গুরুত্বপুর্ন বিষয় নয় তবুও এর ডিজাইন মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাকশন মটর:
লিফটের মুভমেন্টের জন্য ট্রাকশন মটর গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে, এটা ইনভার্টারের কমান্ড অনুযায়ি পরিচালিত হয়। মটরটি অবশ্যই ভাল মানের হতে হবে তাই সরবরাহকারীর কাছ থেকে মটরের মডেল, ক্ষমতা এবং নাম জেনে নিবেন যা আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে
মাইক্রোপ্রসেসর কন্ট্রোলার:
লিফটের প্রতিটি যন্ত্রাংশই খুবই গুরুত্বপুর্ন তবে এর মধ্যে কন্ট্রােলার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে, এটা কেবিনের মুভমেন্ট, মটরের মুভমেন্ট, থামা, চলা সবকিছু নিয়ন্ত্রন করে তাই ভালো মানের কন্ট্রোলার আপনার মুভমেন্টকে স্মোথ এবং দীর্ঘস্থায়ী সার্ভিস দিয়ে যেতে পারে। লিফট কেনার পুর্বে অবশ্যই কন্ট্রোলার এর অরিজিনাল ব্র্যার্ন্ড নাম জেনে নিবেন এবং এটা মার্কেটে সহজলভ্য কিনা, এটার উপর দক্ষ জনবল বাংলাদেশে আছে কিনা দেখে নেওয়া জরুরী। অন্যথায় আপনার রক্ষানাবেক্ষন খরচ অনেকগুন বেড়েযাবে।
ডোর অপারেটর
দড়জা খোলা এবং অপেন করার জন্য যে যন্ত্রটি কাজ করে তাকেই ডোর অপারেটর বলে। এই যন্ত্রটি মটর, কন্ট্রোলার এর মতই দ্বায়িত্ব পালন করে তাই এর অরিজিনাল ব্র্যান্ড জেনে নিবেন এবং সেটার পারফরমেন্স সরেজমিনে চেক করে অর্ডার কনফার্ম করবেন।
প্রজেক্ট ভিজিট:
যে কোম্পানী থেকে লিফট কিনবেন তার মিনিমাম ৩টি প্রজেক্ট ভিজিট করে সিদ্ধান্ত নিবেন।
অফিস ভিজিট:
অবশ্যই অফিস ভিজিট করে সাপ্লাইয়ারের সক্ষমতা, জনবল চেক করে নিবেন অন্যথায় লিফটের অর্ডার দেওয়ার পর আপনাকে ভুগতে হতে পারে।
সর্বশেষ:
ওয়ারেন্টি দেখে নিন, কন্ট্রাক্ট এগরিমেন্টে লিফটের সকল তথ্যাদি যুক্ত রাখুন । ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে লিফট কেনার আগে তাদের বিক্রয় পরবর্তী সেবা আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র বুঝে নেবেন। এ ছাড়া সব সময় অনুমোদিত ডিলার, আমদানিকারক বা বিশ্বস্ত মাধ্যম থেকে লিফট কিনুন।